ঢাকা ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কোভিড-১৯ পুরস্কারপ্রাপ্ত 

সাংবাদিক সুকান্ত সহকর্মীদের কাছে স্মৃতির পাতায় অমর হয়ে থাকবে 

সাংবাদিক সুকান্ত সহকর্মীদের কাছে স্মৃতির পাতায় অমর হয়ে থাকবে 

করোনায় সাংবাদিক সুকান্ত সেনের মৃত্যুতে শোকাহত সাংবাদিক সমাজ। তার অকালে মৃত্যুতে ঐতিহ্যবাহী সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ সহকর্মীদের কাছে স্মৃতির পাতায় অমর হয়ে থাকবে সাংবাদিক সুকান্ত সেন।

কোভিড-১৯ পুরস্কারপ্রাপ্ত আপোষহীন এ সাংবাদিক চলে গেছেন না-ফেরার দেশে। করোনার সংবাদ লিখে পুরস্কৃত হলেও সেই করোনায় তার মৃত্যু হয়। এতে বিশেষ করে সাংবাদিক সমাজে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। তার নানা স্মৃতি মনে পড়ায় এখনও রাতের ঘুম হয় না অনেক সহকর্মীর। বার বার মনে পড়ে টগবগে যুবক সহকর্মী সাংবাদিক সুকান্ত সেনের কথা। আর কোন দিন ফিরে আসবে না মহৎ পেশায় এ সাংবাদিক সমাজে। তার মৃত্যুতে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের চোখের অশ্রু এখনও থামছে না।

মহামারি করোনা রিপোর্ট সংগ্রহে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিলেন তিনি। এজন্য একজন সাহসী সাংবাদিক হিসেবে ওই পুরস্কার প্রাপ্ত হন। সাংবাদিক সুকান্ত সেন ১৯৭৬ সালে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০০১ সালে সাংবাদিক পেশায় যোগদান করেন। গত ২২ নভেম্বর তার শরীরে করোনা ভাইরাস পজেটিভ ধরা পড়ায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ২৫ নভেম্বর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ওইদিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। ১০ দিন মৃত্যুর সাথে লড়ে অবশেষে মহামারি করোনার কাছে পরাজয় বরণ করে সকাল ৬টায় পরলোক গমন করেন।

তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক, বেসরকারি টিভি চ্যানেল আরটিভি’র সিরাজগঞ্জ স্টাফ রিপোর্টার ও স্থানীয় দৈনিক যুগের কথার নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি দৈনিক দেশবাংলা ও বাংলাদেশ সময় পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এছাড়াও তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক, পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক, উদীচীর নির্বাহী সদস্য, রোটারী ক্লাবের সদস্যসহ একাধিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

এদিকে তার স্ত্রী স্বপ্না রাণী কান্নাজড়িত কণ্ঠে এ প্রতিবেদককে বলেন, সুকান্ত সেন সাংবাদিকতা ও ভালো কাজে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। তার মৃত্যুর প্রায় ১ মাস আগে ভারতের একটি সংস্থা তাকে পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা করে। এ পুরস্কার আনার জন্য প্রায় ৩ সপ্তাহ আগে ভিসাও করেছেন। এ ভিসা আনতে গিয়ে তিনি করোনায় আক্রান্ত হন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর প্রায় দেড় মাস আগে বৃদ্ধ বাবা সুশান্ত সেন বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান বলে তিনি জানান।

সাংবাদিক সুকান্ত স
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত